গ্রাহকের টাকা ফেরত দিলে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো আস্থায় ফিরতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দালাল প্লাস, বাংলাদেশ ডিল ও আনন্দ বাজারের প্রতারিত গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলেন, “অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অফিস বন্ধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা যদি গ্রাহকের টাকা শোধ করে ব্যবসায় আসে তাহলে আস্থার জায়গাটা ফিরে আসবে। ই-কমার্স ইন্ড্রাস্টির সামনে যে গ্রোথ আছে, যে পরিকল্পনা আছে, সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। কিউকমের এখন পর্যন্ত ২৩ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে। দু'একদিনের মধ্যে আরও ৩৫ কোটি টাকা চলে যাবে। তাহলে কিউকমের ৬০ কোটি টাকার মধ্যে ৫৭ কোটি টাকার মতো পরিশোধ হয়ে যাবে, বাকি কিছু থাকতে পারে। তাদের একশ কোটি টাকার প্রোডাক্ট আছে সেগুলোও প্রক্রিয়া করা যাবে।”
এ সময় কিউকমের মালিকের জামিন প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সচিব বলেন, “জামিনের বিষয়ে আমরাও বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেছি, ই-ক্যাবকে বলেছিলাম আদালতে যোগাযোগ করার জন্য। তারা সেখানে গেছেন, সেটার রেজাল্টও আপনারা জানেন। একটা মামলার জামিন হয়ে গেছে। সে যদি লিগ্যাল প্রসিডিউরে আসতে পারলে কিউকমের আটকে থাকা প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া যাবে। এটি ফেরত দিতে পারলে বড় ধরনের রিলিফ হবে।”
সফিকুজ্জামান বলেন, “এ কারণে আবারও বলবো যারা যেখানে সমস্যায় আছে, গা ঢাকা দিয়ে আছে তারা যদি যোগাযোগ করে পজিটিভলি টাকাগুলো ফেরত দেয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অ্যাডজাস্টমেন্ট করা আছে। তাদের আমরা আপাতত ডিস্টার্ব করবো না।”
অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, “যারা এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে লুকিয়ে থাকবে, তারা মার্চের পর গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারবে না। এই তথ্যটা সবার মাধ্যমে জানাতে চাই। পাশাপাশি কোথাও ব্যত্যয় দেখলে মিডিয়াকে তা জানানোর অনুরোধ করছি।”
সফিকুজ্জামান বলেন, “আমরা আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরতের কার্যক্রম গুছিয়ে এনেছি। আগামী সপ্তাহে আবার বসে শ্রেষ্ঠ ডটকম, আলিফ ওয়ার্ল্ড, ধামাকার টাকাগুলো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফেরত দিতে পারবো। তাহলে সবমিলে ১১টি প্রতিষ্ঠান এ প্রক্রিয়ার মধ্যে আসবে।”